উরোপ বনাম লাতিন ফুটবল ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ যেন রূপ নিয়েছে দুই মহাদেশীয় ঘরানার এক জমজমাট দ্বৈরথে। একদিন আগে পিএসজিকে হারিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিল বোটাফোগো। এবার ইংলিশ ক্লাব চেলসির গর্বে ধাক্কা দিল আরেক ব্রাজিলিয়ান দল ফ্ল্যামেঙ্গো।
ব্রাজিলের সাওপাওলো শহরের কোনো ক্লাব ইউরোপীয় প্রতিপক্ষকে হারানোর আনন্দে ভেসেছিল সর্বশেষ ৩৩ বছর আগে। ১৯৯২ সালের ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে বার্সেলোনাকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল সাওপাওলো এফসি। তারপর দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় অপেক্ষায় ছিল শহরটি। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান ঘটাল ফ্ল্যামেঙ্গো। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে ইংলিশ ক্লাব চেলসিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে নতুন ইতিহাস লিখল ব্রাজিলিয়ান জায়ান্টরা।
ফিলাডেলফিয়ার লিঙ্কন ফাইনান্সিয়াল ফিল্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে অবশ্য শুরুতে লিড নিয়েছিল চেলসি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি ১৩ মিনিটে পেদ্রো নেতোর করা সেই গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধও শেষ করেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিতে হলো ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের। একে একে গোল করেছেন ব্রুনো হেনরিক, দানিলো ও ওয়ালেস ইয়ান। ম্যাচজুড়ে সেলেসাও এই ক্লাবটি গ্যালারি থেকেও বড় সমর্থন পেয়েছে।
ম্যাচে ৫২ শতাংশ বল দখলে রেখে ফ্ল্যামেঙ্গো ১৩টি শট নেয়, যার ৯টিই ছিল গোলের লক্ষ্যে। অন্যদিকে প্রায় সমান পজেশন নিয়ে চেলসি ১১টি শট নিয়ে কেবল ৪টি লক্ষ্যে রাখতে পারে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছিল নিকোলাস জ্যাকসনের লাল কার্ড। ফলে ৬৮ মিনিটের পর থেকে ইংলিশ ক্লাবটিকে ১০ জন নিয়েই খেলতে হয়েছে। ফ্ল্যামেঙ্গোর আয়ারটন লুকাসকে কড়া ট্যাকেল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে মাঠ ছাড়তে হয় জ্যাকসনকে।