সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য ভুলে যাওয়ার মতো এক বিপিএল। তাদেরকে বিদায় নিতে হয়েছে সবার আগে। আসরের যাত্রাই তারা করেছিল হ্যাটট্রিক হার দিয়ে। এরপর মাত্র ২ জয়ের পর টানা ৬ ম্যাচে হার। সর্বশেষ গতকাল সোমবার দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ৫ উইকেটে হেরেছে সিলেট।
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বাজে খেলেছেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। প্রত্যাশার ছিঁটেফোঁটাও ছিল তাদের খেলায়। দাপট দেখাতে পারেনি দেশি ক্রিকেটাররাও।
ক্রিকেটারদের অফফর্মের পাশাপাশি ইনজুরিও ভুগিয়েছে সিলেটকে। ইনজুরির কারণে রাজশাহীর বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি উইকেটরক্ষক ব্যাটার রনি তালুকদার। যদিও আগের ১০ ম্যাচের সবগুলোতেই খেলেছেন তিনি।
রাজশাহীর বিপক্ষে হারের পর ইনজুরি নিয়ে এক রকম ক্ষোভই প্রকাশ করেছেন সিলেটের অধিনায়ক আরিফুল হক। তিনি জানান, এমন বাজে অভিজ্ঞতা আগে কখনো হয়নি তার।
সিলেটের দলপতি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, আসলে আগে কখনও অধিনায়কত্ব করা হয়নি। করার পর বুঝতে পারলাম কতটা চাপের মধ্যে সবকিছু করতে হয়। জীবনে একটা দারুণ অভিজ্ঞতা যে, কতকিছু মেইনটেইন করে চলতে হয়।’
বিপিএলে চলতি আসরে আরও ম্যাচ বাকি সিলেটের। নিয়মরক্ষার ম্যাচ বলা যায়। তবে শেষটা অন্তত ভালো করতে চান আরিফুল। আগামী বৃহস্পতিবার সিলেটের শেষ ম্যাচ চিটাগং কিংসের বিপক্ষে। এই ম্যাচে জিতে ইতিবাচকভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চায় সিলেট।
আরিফুল হক বলেন, ‘না আসলে আরেকটা ম্যাচ বোঝা না। শেষ ম্যাচটা জিততে পারলেও শান্তি আসবে যে একটা ম্যাচ জিতে আসছি। আসলে আশা যদি না থাকে কঠিন হয়ে যায় পারফর্ম করা। সবাই পেশাদার ক্রিকেটার। ব্যাটার, বোলার ভালো করলে ভালোই লাগে। দিনশেষে ভালো খেলা গেলে সবারই ভালোই লাগে।’
আরিফুল বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট খুবই বাজে গেছে। খুবই বাজে গেছে। এরকম অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। আজকেও ওপেনার রনি (তালুকদার) সকালে উঠে বলছে, আমার ঘাড়ে লেগেছে। ধরতে হবে সেও ইনজুরড। শেষ ম্যাচেও দেখা যাবে, কেউ না কেউ বলছে যে, ‘‘আমি খেলতে পারবো না।’’ সব ইনজুরির ওপরেই আছে। অভিজ্ঞতা ভালো না।’
বিদেশি ক্রিকেটারদের ভরসা ছিল সিলেটের। কিন্তু তারা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বিদেশিদের পারফরম্যান্সে হতাশা প্রকাশ করে আরিফুল বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় রাকিম (কর্নওয়াল) যদি ফুল সার্ভিস দিতে পারতো। যদি (জর্জ) মুনসে ভালো সার্ভিস দিতে পারতো, (পল) স্টার্লিং ছিল। এরা সবাই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে বড় নাম। কেউ আসলে সেভাবে ডেলিভার করতে পারেনি।’
বিপিএলে এবারই প্রথম অধিনায়কত্ব করেছেন আরিফুল। যদিও ঘরোয়া ক্রিকেটে জাতীয় লিগ ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে তার। তবে বিদেশি ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দেওয়াটা চ্যালেঞ্জের। ম্যাচের সে কথাও বললেন আরিফুল।