গতকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এই হুশিয়ারি দেন হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা নাইম কাশিম।
নাইম কাশিম বলেন, ‘ইসরায়েল যদি তার আগ্রাসন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তবে এর জবাবে তাদের মুখে সত্যিকারের চড় দেওয়া হবে।’
নাইম কাশিম আরও বলেন, সীমান্তে স্থিতিশীলতার যে কোনো পুনঃপ্রতিষ্ঠা গাজায় আগ্রাসনের অবসান এর উপর নির্ভরশীল। শত্রুদের জানা উচিত, আমরা প্রস্তুত। অন্তহীন আগ্রাসনের প্রস্তুতি যেমন আমাদের আছে, তেমনি আগ্রাসন বন্ধ করার মানসিকতাও আমাদের আছে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে গাজা সমর্থিত হামাসের আশ্চর্যজনক হামলার পর থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হামাস সমর্থিত হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় হয়েছে৷ এই সহিংসতায় লেবাননে কমপক্ষে ১৪২ হিজবুল্লাহ সদস্যসহ ১৯৫ জনের বেশি লোক নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের ৯ সেনা সদস্য এবং ৬ বেসামরিক নাগরিকসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
লেবাননের সরকারী বার্তা সংস্থা এনএনএ এবং ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত এলাকার মেয়র হাসান চিতে বলেন, শুক্রবার কাফার কিলা নামের দক্ষিণ লেবাননে একটি গ্রামে ইসরায়েলি বিমানবাহিনী চারটি বাড়ি লক্ষ্যবস্তু করে হামলা করে। এতে অন্তত তিনটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। পরে আরও একটি বাড়ি লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
হাসান চিতে বলেন, কফার কিলায় প্রায় ১০০ জন বাসিন্দা অবশিষ্ট। সৌভাগ্যক্রমে হামলার সময় বাড়িগুলো খালি ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে তারা হিজবুল্লাহর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র ও সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে কামান ও ট্যাঙ্ক হামলা চালিয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে তিনটি হামলার দাবি করেছে। যার মধ্যে সীমান্তে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ক্ষমতাসম্পন্ন বুরকান ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি সৈন্যদের লক্ষ্য করে দুইটি ছোঁড়া হয়েছে। হিজবুল্লাহর সংসদীয় ব্লকের প্রধান মোহাম্মদ রাদ বলেছেন, ইসলামি প্রতিরোধের জন্য লেবাননে যা আছে তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য ইসরাইল মোটেও প্রস্তুত নয়।
গত বুধবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছেন,আগামী মাসগুলোতে ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ যুদ্ধের সম্ভাবনা অতীতের তুলনায় অনেক বেশি। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষ বাড়লে এটি একটি বড় বিপর্যয় হবে।