এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী ২৬ জুন থেকে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে শিক্ষাবোর্ড। শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এবার কোনো এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে শুধু সেই বোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত হবে। স্বাভাবিক নিয়মে চলবে অন্য সব বোর্ডের পরীক্ষা।
প্রসঙ্গত, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আগামী ২৬ জুন থেকে শুরু হবে এবং ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার্থী ১০ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি। গতবারের তুলনায় যা প্রায় ৭৩ হাজার কম। আলিমে এবার পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজারের বেশি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে নেওয়া হবে পরীক্ষা।
আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির বলেন, এ সময় দেশের অনেক অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে। যে অঞ্চলে বন্যা হবে শুধু সেখানেই পরীক্ষা স্থগিত হবে। অন্য বোর্ডের পরীক্ষা চলবে স্বাভাবিকভাবেই।
উল্লেখ্য, করোনা ও ডেঙ্গু রোগের সংক্রমণ হারের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনায় উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
পরীক্ষা কেন্দ্রে যেসব নির্দেশনা মেনে চলতে হবে:
• কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক।
• পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রবেশ পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
• ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ও আশেপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
• পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের ভেতরে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে হবে।
• পরীক্ষা কক্ষের আসন বিন্যাস বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পরিপালন করতে হবে।
• প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের মেডিকেল টিমকে সক্রিয় রাখতে হবে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।
• জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের জটলা নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা চালাতে হবে।