দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে খেলার স্বপ্নে বড় চ্যালেঞ্জ দিল নিউজিল্যান্ড। ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও তিন নম্বরে নামা কেন উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরিতে ৩৬২ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ গড়েছে কিউইরা। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংস খেলে বিশাল এই রান তুলতে দারুণ সহায়তা করেছেন ড্যারিয়েল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপস। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এটিই সর্বোচ্চ রান।
নিউজিল্যান্ড আজ ভেঙেছে চলতি আসরেই গড়া অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড। এই লাহোরেই গ্রুপপর্বে ইংল্যান্ডের করা ৩৫১ রানের রেকর্ড রান টপকে ৩৫৬ রান তুলে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ইংলিশ ও অজিরা ভেঙে দেয় নিউজিল্যান্ডের গড়া ২০০৪ সালের রেকর্ড। সেবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৩৪৭ রান করেছিল কিউইরা।
আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউটে আজ নিউজিল্যান্ডের করা ৩৬২ তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৯৭ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ গড়েছিল স্বাগতিক ভারত। আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্টের নকআউটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করার রেকর্ডও অবশ্য কিউইদের। ওয়েলিংটনে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৯৩ রান করেছিল স্বাগতিকরা।
লাহোরের পাটা উইকেটে এদিন টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় নিউজিল্যান্ড। ইনিংস উদ্বোধনে উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে মাঠে নামেন রাচিন রবীন্দ্র। দলীয় পঞ্চাশের আগে ইয়ংকে হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে দেড় শতাধিক রানের জুটি গড়েন রাচিন ও উইলিয়ামসন। মাত্র ৩২ ওভারের মধ্যেই দুই শ রান পূর্ণ করে নিউজিল্যান্ড। শেষ ১৮ ওভারে করে আরও ১৬২ রান।
এদিন ৪৭ বলে ফিফটি হাঁকানো রাচিন সেঞ্চুরি করতে ব্যয় করেন ৯৩ বল। শেষ পর্যন্ত ১০১ বলে ১০৮ রানে থামেন তিনি। ১৩টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ১টি ছক্কা। অন্যদিকে, হাফ সেঞ্চুরি করতে ৬১ বল ব্যয় করা উইলিয়ামসন পরের পঞ্চাশ করেন স্রেফ ৩০ বলে। শেষ পর্যন্ত ৯৪ বলে ১০টি চার ও ২ ছক্কায় ১০২ রান করে আউট হন তিনি।
পাঁচ নম্বরে নেমে রান পাননি টম ল্যাথাম। তবে কিউইদের বড় রানের দিকে নিয়ে যান মিচেল ও ফিলিপস। ৩৭ বলে ফিফটি থেকে এক রান দূরে থাকতে আউট হওয়া মিচেল ৪টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ১টি ছক্কা। সমান রান করা ফিলিপস খরচ করেন মাত্র ২৭ বল। ১২ বলে ১৬ রান করে আউট হন মাইকেল ব্রেসওয়েল। তাতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৬২ রানে থামে কিউইরা।