নুসরাত ফারিয়া গ্রেপ্তার: তিন পোস্টে যা লিখলেন নওশাবা
অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তাকে রাজধানীর ভাটারা থানায় হস্তান্তর করা হয় এবং ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সোমবার (২০ মে) শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তারের পর অভিনয়শিল্পী সমাজে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ, যিনি নিজেও বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিক বিতর্কে জড়িয়ে জেল খেটেছেন এবং দীর্ঘ সময় কাজ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
নওশাবা প্রথম পোস্টে লিখেছেন—
‘রাষ্ট্র কি ভুলে যাচ্ছে? আপনারা বাংলাদেশকে কথা দিয়েছিলেন, তার বাক স্বাধীনতা থাকবে, শিল্পী তার শিল্প চর্চা করবে আপন লয়ে… গোল্ডফিশ মেমোরি হলে তো হবে না! মনে করানোর ব্যবস্থা বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জানে।’
দ্বিতীয় পোস্টে ফারিয়াকে আদালতে নেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন—
‘দমটা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আমার.. কেনো? কেনো রাষ্ট্র? কি দোষে একজন শিল্পী আজ এইভাবে? জনগণ জানতে চায়। জানার অধিকার আমাদের আছে!’ আমরা বার বার কি উদাহরণ সৃষ্টি করছি??
তৃতীয় পোস্টে অভিনেতা মোস্তাফিজ নূর ইমরানের বক্তব্য শেয়ার করে তিনি লেখেন—
‘সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: শিল্প ও শিল্পীর অবমূল্যায়ন, জাতির ধ্বংসের কারণ… মিথ্যা মামলা, আটক, হয়রানি, পাবলিক, মিডিয়া ট্রায়াল, মব ভায়োলেন্স— এসব মানহানি বন্ধ হোক এখনই।’
নুশরাতের গ্রেপ্তার নিয়ে শিল্পী সমাজের একাংশ মনে করছেন, ফারিয়ার গ্রেপ্তার শুধু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বরং এটি একটি বৃহত্তর উদ্বেগের প্রতিফলন, যেখানে শিল্পীদের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি বাড়ছে।
নওশাবা আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শিল্পী যদি সত্যিই অপরাধী প্রমাণিত হয়, বিচার হোক। কিন্তু হয়রানি বা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
উল্লেখ্য, ডিবির বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক সাংবাদিকদের জানান, ‘ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিরোধিতা এবং মদদ দেওয়াসহ বিভিন্ন ঘটনায় নুসরাত ফারিয়ার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ভাটারা থানা এলাকায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
ফারিয়ার আইনজীবীরা তার জামিন চেয়ে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে শিল্পী সমাজ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।