বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন পদে লিখিত পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ২২ চাকরিপ্রার্থীকে নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লিয়াকত আলী লাকীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সুমিত্রা সেন কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন। এতে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে একাডেমির পরিচালক/সচিব (প্রশাসন) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীকে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, যোগদানের পর থেকে বেতন-ভাতা বাবদ সরকারি তহবিল থেকে আট লাখ টাকা নিয়েছেন ওই ২২ জন, যা দুদক আইনে আত্মসাৎ বা সরকারি অর্থ ক্ষতির পর্যায়ে পড়ে।
এজাহারে বলা হয়, শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কাছ থেকে পাওয়া নম্বরপত্রে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি করেন লাকী ও জাহাঙ্গীর। আসামিরা অনুত্তীর্ণদের নম্বর বাড়ানোর মাধ্যমে অবৈধভাবে ১০ পদে ২২ জনকে ২০১৭ সালে নিয়োগ দেন।
জালিয়াতির মাধ্যমে লাকী ও জাহাঙ্গীর ওই ২২ জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
নিয়োগ পাওয়া বাকি ২২ আসামি হলেন– শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আল মামুন, হামিদুর রহমান, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, হাসান মাহমুদ, খন্দকার রেদওয়ানা ইসলাম, রুনা লায়লা মাহমুদ, সহকারী পরিচালক (বাজেট ও প্ল্যানিং) সামিরা আহমেদ, স্টেজ ম্যানেজার রহিমা খাতুন, গাইড লেকচারার মাহাবুবুর রহমান, ইনস্ট্রাক্টর (সংগীত ও যন্ত্র) মীন আরা পারভীন, ইনস্ট্রাক্টর (নৃতা) প্রিয়াংকা সাহা, যন্ত্রশিল্পী (গ্রেড-৩) নারায়ণ দেব লিটন, মোহাম্মদ জিয়াউল আবেদীন, নৃত্যশিল্পী (গ্রেড-৩) লায়লা ইয়াসমিন, আলকা দাশ প্রাপ্তি, সুমাইতাহ তাবাসসুম খানম, কণ্ঠশিল্পী রোকসানা আক্তার রূপসা, আবদুল্লাহেল রাফি তালুকদার, সোমানুর রহমান, আবিদা রহমান সেতু, মোহনা দাস ও ক্যামেরাম্যান (জনসংযোগ) রুবেল মিয়া।
এর মধ্যে আল মামুন লিখিত পরীক্ষায় ৮৪ পেয়েছিলেন। বাড়িয়ে তাঁর নম্বর ১২৭, হামিদুর রহমানের ৭৫ থেকে ১২৫, সুদীপ্তার ৭৯ থেকে ১২০, হাসান মাহমুদের ৭৪ থেকে ১২৬, রেদওয়ানার ৯০ থেকে ১১৭, রহিমার ৪৫ থেকে ১০৩, লিটনের ১৩ নম্বর থেকে বাড়িয়ে ৬৩ দেওয়া হয়েছিল।