দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক স্বীকৃতি একুশে পদক। এবার সেটা পেলেন ২০২৪ সালের সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দল। ক্রীড়াঙ্গনের কোনো দলের এই পুরস্কার অর্জন, দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম। আজ দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে দলের পক্ষে মর্যাদার এই পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা।
এ সময় মঞ্চে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে ৩২ জনের সাফ কন্টিনজেন্ট আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। অধিনায়কদের পুরস্কার গ্রহণের পর দলের বাকি সদস্যরা মঞ্চে উপস্থিত হন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
এ সময় মঞ্চে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা মিলিয়ে ৩২ জনের সাফ কন্টিনজেন্ট আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। অধিনায়কদের পুরস্কার গ্রহণের পর দলের বাকি সদস্যরা মঞ্চে উপস্থিত হন। এরপর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছবি তুলতে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন,‘বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের পদকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য। সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন স্যার নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ ম্যাডাম, বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল স্যারকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা ফুটবল উন্নয়নে কাজ করছেন।’
৫২ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণ করেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাবিনা। তিনি বলেন,‘আজ আমরা এই পদক পেয়ে বীর শহীদদের স্মরণ করছি। আমরা গৌরাবিন্বত ও অনুপ্রাণিত একুশে পদক পেয়ে। এটা ক্রীড়াঙ্গনের জন্য মর্যাদার তেমনি নারী অঙ্গনের জন্য অনণ্য উচ্চতার।’ সবার কাছে আরো সহায়তা-দোয়া প্রত্যাশা করে বলেন,‘এই পদক সাবিনাদের জন্য দায়িত্ব আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনারা আমাদের দোয়া করবেন। সব সময় সাহস জুগিয়ে এসেছেন। ’
এর আগে একুশে পদক নিতে দলটির ১১ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এরপর বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে তারা। পরে ফেডারেশনের অনুরোধে দলের ৩২ সদস্যকে আমন্ত্রণ জানায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। শেষ পর্যন্ত ২৩ ফুটবলারের পাশাপাশি কোচ-কর্মকর্তাসহ আরও ৯ জনকে আমন্ত্রণ করা হয়। যদিও দলটির কোচ পিটার বাটলার অনুষ্ঠানে যাননি।
উল্লেখ্য, গত বছর নেপালে স্বাগতিকদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো সাফ শিরোপা জিতে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই দলে ছিলেন- রুপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা।