ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যুর পর হামাসের অন্তর্বর্তী দায়িত্বে আসছেন আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য খালেদ মেশাল। একটি সূত্র বেসরকারি টিভি চ্যানেল লেবানিজ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ইন্টারন্যাশনাল, যা এলবিসিআই নামে পরিচিত এই খবর নিশ্চিত করেছে।
মেশাল এখন জিম্মি এবং বন্দীদের সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের সাথে সমস্ত যোগাযোগের তত্ত্বাবধান করেছেন। একই সূত্র এলবিসিআইকে নিশ্চিত করেছে যে, ‘হামাস নেতৃত্ব তুর্কি, কাতারি এবং মিশরীয় কর্মকর্তাদের তেল আল-সুলতান অপারেশন চলাকালীন তার রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যুর বিষয়ে জানিয়েছে।
হামাস জোর দিয়ে বলেছে যে সিনওয়ারের হত্যার পরে, বন্দী বিনিময় এবং যুদ্ধের সমাপ্তির জন্য আলোচনা ক্রমবর্ধমান আরো জটিল হয়ে উঠবে।” ওই সূত্র মারফত আরো জানা গেছে যে , মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট এন্টনি ব্লিঙ্কেন এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির কথোপকথনের মাঝেই সিনওয়ারকে হত্যা করা হয়।
খালেদ মেশাল ‘আবু আল-ওয়ালিদ’ ১৯৫৬ সালে সিলওয়াদের পশ্চিম তীরের একটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারসহ কুয়েতে চলে যাওয়ার আগে তিনি সেখানেই প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। আর কুয়েতে যাওয়ার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করেন। ১৯৯৬ এবং ২০১৭ সালের মধ্যে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সভাপতির দায়িত্ব নেন এবং ২০০৪ সালে শেখ আহমেদ ইয়াসিনের মৃত্যুর পর এর নেতা নিযুক্ত হন।
মেশাল ২০২৪ এর ৭ অক্টোবর -এ কুয়ালালামপুর ফোরাম ফর থট অ্যান্ড সিভিলাইজেশনে ইসরায়েলে হামাসের আক্রমণের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি বক্তৃতা রাখেন। সেখানে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তার জন্য ইরান, হুথি, হিজবুল্লাহ এবং ইরাকি মিলিশিয়াদের ধন্যবাদ জানান তিনি। ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে মুসলমানদের তাদের অস্ত্র ও জীবন দিয়ে জিহাদ করার আহ্বান জানান তিনি। গাজার জনগণের কষ্ট লাঘব করতে আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেশাল ।
সূত্র : jewishpress