আজ ১৭ মার্চ সকালে যৌথ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে বাংলাদেশ সংবাদপত্র (গণমাধ্যম) কর্মচারী ফেডারেশন
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ৯ম ওয়েজবোর্ড বাসস ছাড়া অন্য কোন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়ন হয়নি। এমনকি কথায় কথায় শ্রমিক কর্মচারী ও সাংবাদিকদেরকে চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করছে না। মাসের পর মাস বেতন বকেয়া পড়ছে।
অনেক গণমাধ্যমে মাসের পর মাস বেতন বকেয়া থাকলেও তা পরিশোধ হচ্ছে না। ফলে শ্রমিক কর্মচারীদের পরিবার পরিজন নিয়ে জীবন পরিচালনা করা দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে। তাই জীবন জীবিকার তাগিদেই ১০ম ওয়েজবোর্ডও সময়ের দাবি। ওয়েজবোর্ডকে শ্রম আইনের অধীনে নেয়ার কারণে শ্রমিক কর্মচারী ও সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হয়েছে।
আমাদের আন্দোলনের ফলে বিগত পতিত সরকার সংবাদপত্র শিল্পের জন্য একটি গণমাধ্যম কর্মী (চাকরি শর্তাবলী) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও গণমাধ্যম সংস্কারের ধুয়া তুলে সেই আইনটি প্রণয়ন বর্তমানে বন্ধ রেখেছে। আমাদের নিকট থেকে প্রস্তাব নেয়া হলেও তা আজ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
বর্তমান অন্তর্বতীকালিন সরকার সংবাদপত্রে বৈষম্য দূরীকরণের একটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। যা সংবাদপত্র শিল্পের শ্রমিক কর্মচারী ও সাংবাদিকসহ ৩টি মূল বৈধ স্টেকহোল্ডারের মধ্যে ২টি প্রধান বৈধ স্টেকহোল্ডার শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশনকে বাদ দিয়ে গঠন করা হয়েছে। আমরা অন্তবর্তীকালিন সরকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনকে চিঠির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আমাদের অবস্থান পরিস্কার করেছি।
এই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ওয়েজবোর্ডসহ গণমাধ্যম কর্মী (চাকরি শর্তাবলী) আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে একটি বিশেষ মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে। যা এই সংবাদপত্র শিল্পের জন্য আরো একটি বৈষম্যের সৃষ্টি করবে। এই মুহূর্তে গণমাধ্যমে চাকরিরত সকল শ্রেণীর শ্রমিক কর্মচারী ও সাংবাদিক ভাইদের এই বিশেষ মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে হবে।
সকল সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে ৯ম ওয়েজ বোর্ড পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন বাতিলসহ আমাদের প্রাণের দাবি ১১ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সময় সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।