জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা- আইএইএ-এর প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে আর ইরানে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। একইসঙ্গে সংস্থাটিকে ইরানি পরমাণু স্থাপনাগুলোতে নজরদারি ক্যামেরা বসাতেও দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য মাত্র কয়েকদিন আগেই ইরানের পার্লামেন্ট এক আইন পাস করেছে, যেখানে আইএইএ-এর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পেছনে রয়েছে গত ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ওই দিন ইসরায়েল ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলা চালায়। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, এতে কমপক্ষে ৬০৬ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছে।
জবাবে ইরানও ইসরায়েলের ওপর মিসাইল ও ড্রোন হামলা চালায়। হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেমের দেওয়া তথ্যমতে, এতে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত এবং ৩ হাজার ৪০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত গত ২৪ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি, মিডল ইস্ট মনিটর