জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় দিনের আলোচনা শুরু হয়েছে আজ মঙ্গলবার। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের এই সংলাপে যোগ দেয়নি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেলা পৌনে ১২টায় বৈঠক শুরু হয়। ১১টায় বৈঠক শুরুর কথা থাকলেও জামায়াতের প্রতিনিধিদের অপেক্ষায় সভা শুরু করতে বিলম্ব হয়।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে জানা যায়, ঐকমত্য কমিশনের আজকের বৈঠকে যাচ্ছে না জামায়াতে ইসলামী। কেন যাচ্ছে না এ নিয়ে দলটির সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তারা কেউ রেসপন্স করেনি।
তবে জানা যায়, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা এবং তারেক রহমানের বৈঠকের পর নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঠিক হওয়া এবং বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি ভালোভাবে নেয়নি জামায়াত। দলটি মনে করে নির্বাচনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতো পারতো, কিন্তু তা না করে একটি দলের মতামতকে প্রাধান্য দিয়েছে সরকার। এতে করে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বলে মনে করে দলটি।
তবে বিএনপি, এনসিপি, সিপিবি, বাসদ, ইসলামী আন্দোলনসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।
সূচনা বক্তব্যে কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা পেলে জুলাই মাসেই জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব। কমিশনের সব প্রস্তাবে একমত না হলেও জাতির স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে ছাড় দিতে আহ্বান জানান জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান আলী রীয়াজ।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি বিরোধীদল থেকে নিয়োগ, নারী আসনের নির্বাচন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ও সংসদের উচ্চ কক্ষ নিয়ে আলোচনা হবে আজকের সভায়।