নির্ধারিত সময়ে ইকুয়েডরের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে থাকার পর টাইব্রেকারে শেষ আটের ম্যাচের ফয়সালা হয়। মেসি প্রথম গোলের সুযোগ নষ্ট করলেও, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ পরপর ২টি গোল বাঁচিয়ে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ইকুয়েডরকে ১-১ (৪-২) গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছ আর্জেন্টিনা।
মেসিকে বাঁচিয়েছেন মূলত এমিলিয়ানো মার্টিনেজই। কারণ ১-১ গোলে সমতার ম্যাচে টাইব্রেকারে প্রথম শট নিতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেছিলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। পোস্টের মাঝামাঝি ‘পানেনকা’ শট নিতে গিয়ে বল মেরে বসেন ক্রসবারে। যে শটে মেসি গোল মিস করেছেন, সে ধরনের শট তাকে সাধারণত নিতে দেখা যায় না। ম্যাচ শেষে টাইব্রেকারে মিস করা শট নিয়ে কথা বলেন মেসি।
ম্যাচ শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মেসি বলেন, ‘খুব বিরক্ত লেগেছে নিজের ওপর। ভেবেছিলাম কিকটা ভালোই হবে। আমি (দুই গোলরক্ষক) দিবু ও রুইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এই কিকটা অনুশীলন করা হয়নি, শুধু কথা বলে নিয়েছিলাম। আমার চেষ্টা ছিল বলটা আস্তে করে মারতে, কিন্তু উঁচুতে উঠে গেল।’
পুরো নব্বই মিনিটে মেসির বলে স্পর্শ ছিল মাত্র ২৭ বার, গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজের চেয়ে একবার বেশি। ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামি তারকা জানালেন, ইনজুরির কারণে তাকে সতর্ক থাকতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন ঠিক আছি। কোনো অস্বস্তি নেই। আবার চোটে পড়ার বা অস্বস্তিতে ভোগার মানসিক ভয় সব সময়ই ছিল। তবে পেশিতে কোনো সমস্যা নেই। কোচ জিজ্ঞাসা করেছিল খেলতে প্রস্তুত কি না। আমি হ্যাঁ বলেছি।.