ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে এ বছর মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ২৫৭ জন। গত এক দিনে আরও ১ হাজার ১৩৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৫২ হাজার ৫৮ জন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।
অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ২৬২ জন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ১৩০ জন। এর বাইরে (সিটি করপোরেশন বাদে) ঢাকা বিভাগে ২১১, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৯, খুলনা বিভাগে ১০১, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩১, বরিশাল বিভাগে ৭৭, রংপুর বিভাগে ২৪, রাজশাহী বিভাগে ৫১ ও সিলেট বিভাগে তিনজন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর ডেঙ্গুতে ডিএসসিসি এলাকায় সর্বোচ্চ ১২৪ জন মারা গেছেন। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ডিএনসিসি এলাকায়। এই সিটি করপোরেশনে ১০ হাজার ৮১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
সারাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮৩৮ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ঢাকায় ১ হাজার ৮২৯ জন, বাকি ২ হাজার ৯ জন ঢাকার বাইরে বিভিন্ন বিভাগে।
২০২৩ সালের জুন থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গেল বছর দেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন, যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর মশাবাহিত এই রোগ নিয়ে জানা যায় বেশ কিছু ভয়ংকর তথ্য।
চারটি সংস্থার যৌথভাবে পরিচালিত এক গবেষণায় জানা যায়, চট্টগ্রামে আক্রান্তের ৮৮ শতাংশের বেশি রোগীর শরীরেই এ রোগের সবচেয়ে ক্ষতিকারক ধরন ডেন-২-এর অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার মানুষের নমুনা নিয়ে এটি শনাক্ত করেছে একদল গবেষক। অত্যন্ত ক্ষতিকারক এ ধরনের মধ্যে আবার বিপজ্জনক কসমোপলিটন প্রকরণ ছড়িয়ে পড়ার তথ্যও উঠে এসেছে গবেষণায়। এর কারণে চট্টগ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। বাড়ছে মৃত্যুর ঘটনাও। দেশে এবারই প্রথমবারের মতো কসমোপলিটন ধরন শনাক্তের দাবি করেছেন গবেষকরা।