আগামী ১৬-১৭ ফেব্রুয়ারি ওমানে বসতে যাচ্ছে অষ্টম ইন্ডিয়ান ওশান সম্মেলন (আইওসি ২০২৫)। ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সম্মেলনে যোগ দিতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। সেখানেই ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
বৈঠকে ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ও তার ‘উস্কানিমূলক বক্তব্য’ প্রদান নিয়ে আপত্তি জানাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি সম্পর্ক ‘আর খারাপ না করার’ বার্তা দিল্লিকে দেয়া হবে ঢাকার পক্ষ থেকে।
জুলাই বিপ্লবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এটিই হতে যাচ্ছে তৌহিদ–জয়শঙ্কর দ্বিতীয় বৈঠক। এর আগে ২০২৪ সালের জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছিল প্রথম বৈঠকটি। বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে একমত হয়েছিলেন।
এছাড়া গত ডিসেম্বরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের সময়ে দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৫ আগস্ট পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রতিটি বৈঠকেই সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। তবে সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কথা বলেও ভারতের করা আচরণগুলোতে অসন্তুষ্ট বাংলাদেশ।
পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে শুরুতে শেখ হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ ভারতের মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে, তবে এখন এটাই বাস্তব। ভারত কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই সীমান্তে অযাচিত উত্তেজনা তৈরি করা, কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশনে হামলা ও ভাঙচুর, শেখ হাসিনাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা বা ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ক্রমাগত মিথ্যাচার করাকে শক্তি প্রদর্শন হিসেবে দেখছে ঢাকা।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপকে মোটেই ভালোভাবে দেখার সুযোগ নেই। এগুলো বন্ধ করতে আহবান জানাবে ঢাকা। পাশাপাশি ভারতে আশ্রয় দেয়া পলাতক অপরাধীরা যাতে সেখানে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না করে তারও আহবান জানানো হবে।