বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অন্যতম সেরা বোলার হিসেবেই ধরা হয় তাসকিন আহমেদের নাম। তবে তিন ফরম্যাটের জন্যই একসময়ের নিয়মিত মুখ তাসিকন ইনজুরির কারণে টেস্টে নিয়মিত হতে পারছেন না। ২০২৩ এর জুনে আফগানদের বিরুদ্ধে টেস্ট খেলার পর থেকেই তাকে আর ইনজুরির কারণে ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো ফরম্যাটে দেখা যায়নি। এরপর ইনজুরি কাটিয়ে বিপিএল দিয়ে তিনি ক্রিকেটে ফিরলেও পরে জানা গেল যে তিনি টেস্ট থেকে বিরতি নিতে চান। এবার জানা গেল তার এই হঠাৎ বিরতি নেওয়ার কারণ।
বিশ্বকাপে ইনজুরিতে পড়ার পর বিপিএল দিয়ে আবার ক্রিকেটে ফেরেন তাসকিন তবে কিছুদিন আগে বলেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি চান তিনি। এরপরে বিসিবির ক্রিকেট অপরারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস নিজেও নিশ্চিত করেছিলেন বিষয়টি। তবে জানিয়েছিলেন এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দেশে ফেরত আসার পর।
প্রথম থেকেই বলা হয়েছিল, কাঁধের পুরোনো চোটের কথা চিন্তা করেই তাসকিন নিজেকে সরাতে চান। অবশেষে সংবাদমাধ্যমেও একই কথা বললেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে বিরত নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাসকিন বলেন, ‘আসলে আমার কাঁধে ৪৫ শতাংশ টিয়ার (পেশি ছিঁড়ে যাওয়া) ছিল, সর্বশেষ এমআরআই যখন করেছিলাম বিশ্বকাপের সময়। এখনো ম্যানেজ করে করে খেলতে হচ্ছে। আল্লাহ না করুক আরেকটু বড় টিয়ার হলে সার্জারি বাধ্যতামূলক। সার্জারি করলে আট মাস থেকে এক বছর বাইরে থাকতে হবে। আবার ছন্দ কেমন হবে না-হবে, অনেক কিছুর বিষয় আছে।’
তাসকিন আরো বলেন, ‘তাই আমি বোর্ডকে জানিয়েছিলাম, আমাকে যদি একটু টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতি দেওয়া যায়। তাহলে হয়তো যতদিন আমার কাঁধটা ভালো রাখা যায়। এ জন্যই আসলে বলেছিলাম, টেস্ট ক্রিকেট থেকে আপাতত যদি আমাকে বিবেচনা না করা হয়। এখানে আসলে মেডিকেল টিম এবং সবার কাছে প্রমাণ আছে। এখানে লুকানোর কিছু নাই।’
তবে এই কথার মাঝেই হালকা আভাস দিলেন ভবিষ্যতে আবার ফিরে আসার। বললেন, ‘হয়তো ভবিষ্যতে যদি উন্নতি হয় তখন আবার চেষ্টা করব।’
বিপিএলের পর পরই তিন সংস্করণের সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে শ্রীলঙ্কা দল। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে খেললেও দুই টেস্টের সিরিজে যে তাকে দেখা যাবে না তা এখন অনেকটা নিশ্চিত। বিসিবির কিছু আনুষ্ঠানিকতা অবশ্য বাকি আছে। তারা জানিয়েছে বিপিএলের পরই টিম ম্যানেজমেন্ট বসে সিদ্ধান্ত নেবে।