নরসিংদী শহরে মিনহাজুল আবেদীন ওরফে রেজভী (৩৫) নামে ইন্টারনেট ও ডিস ব্যাবসায়ীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার ( ৩০ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রেজভী নরসিংদী সদরের বীরপুর এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি রায়পুরা উপজেলার হাসনাবাদ এলাকায় ইন্টারনেট ও ডিসের ব্যবসা পরিচালনা করতেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের দুই বন্ধু রেজভী এবং তৈয়বের বাড়ি রায়পুরা উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় খলাপাড়া গ্রামে। ওই এলাকায় ডিশের ব্যবসা একসময় যৌথভাবে করতেন দুজন। একপর্যায়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে তৈয়বকে ব্যবসা থেকে বের করে দেন মিনহাজুল। সেখান থেকেই সৃষ্টি হয় শত্রুতা।
নিহতের স্বজন, বাড়িটির বাসিন্দা জানান, রেজভী গতকাল রাতে তৈয়বের ওই ভাড়া বাসায় যান। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসাটিতে ঢোকার পরপরই কে বা কারা তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে। মিনহাজুল দৌড়ে পালাতে গেলে তারাও পিছু নেয় ও উপর্যুপরি কোপায়। একপর্যায়ে তাঁর কোমর ও মাথায় গুলি করা হয়। বাসাটি থেকে ২০ গজ দূরত্বে গলিতে লুটিয়ে পড়ে মিনহাজুলের রক্তাক্ত শরীর। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের পূর্ব ব্রাহ্মন্দী এলাকায় সন্ত্রাসী তৈয়ব ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালাতে যায় রেজভী ও তার দলবল। এ সময় গলির রাস্তায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। উত্তেজনার এক পর্যায়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও কুপিয়ে রেজভীকে হত্যা করে পালিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন।
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক জানায়, সন্ত্রাসী তৈয়ব ও তার পরিবারের ওপর পরিকল্পিত হামলা করতে ব্রাহ্মন্দী এলাকায় আসে রেজভী ও তার দল। এ সময় পাল্টা হামলার শিকার হয়ে নিহত হয় রেজভী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, অপহরণ, অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে বেশকিছু ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।