আরও কিছু রানের আক্ষেপ নিয়ে বাড়ি ফিরতে হলো বাংলাদেশ দলকে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বড় রানের মাঠেও যে সফরকারীরা মাত্র ১১০ রান সংগ্রহ করে। তবে শেষদিকে ঝড় তুলে সেই জয় প্রায় ছিনিয়ে নেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার জিমি নিশাম। যদিও আগেই ম্যাচে হানা দিয়েছে বৃষ্টি, ডিএলএস মেথডে বে ওভালের মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে থাকা বাংলাদেশ হেরেছে।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে ১৪.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৯৫ রান তুলেছিল স্বাগতিকরা। তখনই তারা ১৭ রানে এগিয়ে ছিল। ঠিক তখনই নামে বৃষ্টি।
বৃষ্টিতে পর্যুদস্ত গ্যালারি দর্শকরা। তারা এদিক-সেদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। বৃষ্টির কারণে মাঠ থেকে ফিরে গেলেন ক্রিকেটাররা।
এর মধ্য দিয়ে ১৭ রানে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল নিউজিল্যান্ড। এর আগে বে ওভালে আগে ব্যাটিং করা কোনো দলই (৮ ম্যাচ) হারেনি, যেখানে বাংলাদেশই প্রথম!
প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতলেও শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে নাজমুল শান্ত’র দল। প্রথম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সৌম্য সরকার। ৪ বলে ৪ রান করেন তিনি। আউট হওয়ার ওই ধারা আর থামেনি। ১৯.২ ওভারে ১১০ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রান করেন তিনে নামা অধিনায়ক নাজমুল শান্ত। রনি তালুকদারের সঙ্গে তার ২৭ রানের জুটি হয়। ওটাই দলের সবচেয়ে বড় জুটি। ওপেনার রনি ফিরে যান ১০ রান করে। পরে তাওহীদ হৃদয় (১৬) ও আফিফ হোসেন (১৪) সেট হয়ে ফিরলে রান বড় হয়নি সফরকারীদের।
জবাবে নেমে নিউজিল্যান্ড ৪৯ রানে হারায় ৫ উইকেট। এক প্রান্তে ওপেনার ফিন অ্যালেন থাকলেও অন্য প্রান্ত দিয়ে ধস নামায় বাংলাদেশ। যার শুরুটা হয় ওপেনার টিম শেইফার্টকে স্টাম্পিং করার মধ্য দিয়ে। শেষ হয় মার্ক চাপম্যানকে রান আউট করে। ওই দু’জনসহ মাঝের ড্যারেল মিশেল ও গ্লেন ফিলিপস স্কোরবোর্ডে মাত্র ১ রান করে যোগ করতে পারেন।
তবে ফিন অ্যালেন ৩১ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৩৮ রান করে ম্যাচটা বেশ এগিয়ে দেন। পরে জেমি নিশাম ২০ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ২৮ রান করেন।
অধিনায়ক মিশেল স্যান্টনার ২০ বলে ১৮ রান করেন। তাদের জুটি থেকে ৪৬ রান আসে। ১৪.৪ ওভারে কিউইরা ৫ উইকেটে ৯৫ রান করার পর বৃষ্টি আসে। হাতে থাকা ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে জেতে তারা।
শেষ এই ম্যাচে বল হাতে স্যান্টনার ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এছাড়া ৩ পেসার টিম সাউদি, এডাম মিলনে ও বেন সিয়ার্স দুটি করে উইকেট নেন। বাংলাদেশ দলের হয়ে শেখ মাহেদী ও শরিফুল ইসলাম দুটি করে উইকেট নেন।