বিক্ষোভ মিছিলে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও তৌহিদি জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ভারতের মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে স্লোগান দেন।
মিছিল শেষে বক্তারা বলেন, ভারতে মুসলমানদের ওপর চলমান নিপীড়ন, সাম্প্রদায়িক উসকানি ও ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। বিশেষত, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদ ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা, নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর দমন-পীড়ন বৃদ্ধির ঘটনায় ভারতের ইসলামফোবিয়ার চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বক্তারা বলেন, ভারতের বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদকে ‘রাষ্ট্রীয়’ নীতিতে পরিণত করেছে। নরেন্দ্র মোদি সরকারের হাত মুসলমানদের রক্তে রঞ্জিত। বাংলাদেশে ২০২১ সালে তার আগমনকে কেন্দ্র করেও ২১ জন নিরীহ মানুস হত্যার শিকার হয়েছে। গুজরাটের কসাই মোদির নেতৃত্বে কাশ্মীরে মুসলমানদের রাজনৈতিক অধিকার খর্ব করা হয়েছে। বাবরি মসজিদের স্থানে বিতর্কিত মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে এবং গুজরাট দাঙ্গার ইতিহাস এখনও রক্তক্ষরণ করাচ্ছে।
এসময় তারা সরকারের প্রতি দাবী জানা,
বাংলাদেশ সরকারকে ভারতের মুসলমানদের অধিকার রক্ষায় কূটনৈতিকভাবে সোচ্চার হতে হবে।
ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে।
বাংলাদেশের জনগণকে ভারতে সংখ্যালঘু ও মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।