রাজনীতি গেছে সরকার পতনে; ধস নেমেছে ব্যবসা, বিজ্ঞাপন, এন্ডোর্সমেন্ট– সবকিছুতে। এগুলোই তো যথেষ্ট একজনের মনোবল ভেঙে দিতে। তার ওপর হত্যা মামলা করা হলে কারও পক্ষেই স্বাভাবিক থাকা সম্ভব না। সাকিব আল হাসানও স্বাভাবিক থাকতে পারছিলেন না। একের পর এক দুঃসংবাদ দুর্বিষহ করে দিয়েছিল ৩৭ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের জীবন।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চার দিন পর্যন্ত ম্লান ছিলেন। আশ্বস্ত হওয়ার মতো কোনো বার্তা দিতে পারছিলেন না কেউ। বিসিবি থেকে সে বার্তা গেছে শনিবার। বোর্ড থেকে সাকিবকে বলা হয়েছে, ‘খেলে যাও, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।’ বিসিবির ঊর্ধ্বতন কর্তার কাছ থেকে পাওয়া এই বার্তায় আত্মবিশ্বাস ফিরেছে সাকিবের। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে গতকাল তাই তাঁকে দেখা গেছে পুরোনো চেহারায়।
বিসিবির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দ্বিতীয় টেস্টেও খেলার ব্যাপারে সাকিবকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। বিসিবি থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের সঙ্গে সাকিব ইস্যুতে কথা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর স্মরণাপন্ন হয়েছিলেন মামলা সম্পর্কে জানতে। সব জায়গা থেকেই বলা হয়েছে, সাকিব খেলা চালিয়ে যেতে পারবে আদালত নিষেধাজ্ঞা না দিলে। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করে সাকিবকে চলে যেতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে। বিদেশে নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিয়ে ভারতে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারবেন। ততদিনে হয়তো বিসিবি মামলার বিষয়ে একটা গতি করতে পারবে।
কারণ বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে এখনও দেশের ক্রিকেটে প্রয়োজন। এই যে ব্যাটিংটা ঠিকমতো হচ্ছে না, তার পরও বোলিং দিয়ে পুষিয়ে দিচ্ছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে তিন সংস্করণে ৭০৭ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে তিনি। নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেট্টোরিকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। কিউই এ স্পিনারের উইকেট ৭০৫টি। বোলারদের কথা বিবেচনা করা হলে কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম শীর্ষে।