ঢাকার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল। রাজধানীর নামি এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। কিন্তু প্রশ্নফাঁস, ব্যাচভিত্তিক প্রাইভেট পড়ানো, কিছু শিক্ষকের গড়ে তোলা সিন্ডিকেটে ১৯০ বছরের নামকরা প্রতিষ্ঠানটি ডুবতে বসেছে।
বছরের পর বছর একই স্কুলে পদায়ন নিয়ে কিছু শিক্ষক গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তারা ভাগাভাগি করে ব্যাচভিত্তিক প্রাইভেট পড়ান। নিজের ব্যাচে পড়া শিক্ষার্থীদের হাতে পরীক্ষার আগেই তুলে দেন প্রশ্ন, যা সর্বনাশ ডেকে আনছে শিক্ষার্থীদের জন্য। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরাও।
অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ব্যাচভিত্তিক প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন। তাদের কাছে না পড়া শিক্ষার্থীদের কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন কমন আসে না। আবার পরীক্ষার খাতায়ও নম্বর কম দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অভিভাবকরা স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সন্তানকে প্রাইভেট পড়তে পাঠাচ্ছেন।
এদিকে অভিযোগ ওঠা তিনজন শিক্ষকই প্রশ্নফাঁসে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। গণিতের শিক্ষক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমি গণিত পড়াই, প্রশ্ন তৈরি করি এটা ঠিক। তবে প্রশ্নফাঁস বা কাউকে বলে দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’
ইংরেজির শিক্ষক আওলাদ হোসেন বলেন, ‘অন্য কারও হাত দিয়ে এটা ফাঁস হতে পারে।’ অভিযোগ ওঠা আরেক শিক্ষক নুরুল হককে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ‘দেখা করতে’ বলেন।
তবে এসব বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল্লাহ খান। তার ভাষ্য, ‘বিষয়গুলো আমি সেভাবে জানি না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’