ফিলিস্তিনি সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরিকে হত্যার পর তার দুই বোনকে আটক করেছে ইসরায়েল। রোববার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা ও আল-বিরেহ শহরে ইসরায়েলি অভিযানের সময় গ্রেপ্তার হওয়া বেশ কয়েকজনের মধ্যে তারা দুজনও ছিলেন। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার এক প্রতিবেদনের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন দালাল আল-আরৌরি ও ফাতিমা আল-আরৌরি। স্থানীয় বেশ কয়েক জনের বরাতে এমন তথ্য জানায় ওয়াফা।
দুই বোনের মধ্যে একজনের ছেলে বলেছেন, তার মাকে গ্রেপ্তার করতে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় ইসরায়েলি বাহিনী তাকে লাঞ্ছিত করেন এবং বাড়ি ভাঙচুর করে মামা সালেহ আল-আরৌরি ছবি নিয়ে যায়।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি লেবাননের বৈরুতে ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় হামাসের উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি নিহত হন। বৈরুতের দক্ষিণে দাহিয়েহ এলাকায় ইসরায়েলের ড্রোন হামলায় আল-আরৌরি ছাড়াও এই হামলায় আরও পাঁচ হামাস সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
নিহত আল-আরৌরি হামাসের পলিট ব্যুরোর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি সংগঠনটির সামরিক বিষয়ে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। গত নভেম্বরে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির একজন প্রধান আলোচক ছিলেন তিনি। এর আগে ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের কার্যক্রমের নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫৭ বছর বয়সী আল-আরৌরি।
দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী হামলার জন্য আল-আরৌরিকে দায়ী করে আসছে ইসরায়েল। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, গাজা যুদ্ধের ফলাফল ও হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তি নিয়ে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।