দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার টানা চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় এসেছে। তাদের অবশ্যই মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। দেশে দমনমূলক প্রবণতা পরিহার করতে হবে এবং অংশগ্রহণমূলক রাজনীতির দিকে ঝুঁকতে হবে। এ জন্য বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভোটের আগে কয়েক মাস ধরে হাজার হাজার বিরোধী সমর্থককে নির্বিচারে আটক করা বা ভয় দেখানো, সুশীল সমাজ, মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা এবং হয়রানি- এসব খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। এসব ঘটনা সাম্প্রতিক নির্বাচনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বিবৃতিতে বলেন, বিএনপি এবং অন্যান্য কিছু রাজনৈতিক দল নির্বাচনের প্রক্রিয়ার প্রতি আস্থার অভাব প্রকাশ করে নির্বাচন বয়কট করেছে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি দিয়েছি, যেখানে তাদের কথিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দ্রুত এবং স্বাধীন তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছি।
বিবৃতিতে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেছেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা এবং আইনের শাসনের বিপজ্জনক অবক্ষয় ঘটেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হওয়ার কারণে আমরা শঙ্কিত। এটি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ করছে, যা সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিপন্ন করতে পারে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, অবাধ ও বাধাবিহীন অনুশীলনের নিশ্চয়তা দেওয়ার অনুরোধ করেন তারা। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমাবেশে অযথা বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত থাকতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। একই সাথে এই মৌলিক স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন করা হলে, কেন করা হলো, তার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিবৃতিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সমালোচনামূলক প্রতিবেদনের বিপরীতে হুমকি, শারীরিক ও অনলাইন সহিংসতা বা বিচারিক হয়রানি এবং ফৌজদারি বিচার থেকে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান তারা।
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, আমরা মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে সমর্থন ও পরামর্শ দিতে প্রস্তুত রয়েছি।