পাকিস্তানের মাটিতে টেস্টে বাবর আজমদের হোয়াইটওয়াশ করে এখন ফুরফুরে মেজাজে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম। এবার সাকিব-মুশফিকদের পরবর্তী লক্ষ্য ভারত সফর। চলতি মাসেই দেশটিতে দুটি টেস্ট ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা। আসন্ন এই সফরের একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হামলার হুমকি দিয়েছিল ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা। এবার দুই দলের দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু কানপুরেও হামলার হুমকি এলো দলটির তরফে। তবে হামলার হুমকি নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আজ গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তেমনটাই জানালেন বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম।
বিসিসিআই সূত্রে এবিপি লাইভ জানিয়েছে, কানপুরে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টেস্টে সফরকারী দলের ওপর হামলার হুমকি দিয়েছে হিন্দু মহাসভা। হিন্দু মহাসভার সহ-সভাপতি ডা. জয়বীর ভরদ্বাজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা এই ম্যাচ বাতিলের সবরকমের চেষ্টা করবে। শেষ পর্যন্ত এ ম্যাচের আয়োজন করলে এতে হামলারও হুমকি দিয়েছে।
জয়বীর ভরদ্বাজ বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের গণহত্যা করা হচ্ছে… মন্দির ধ্বংস করা হচ্ছে। এরপরও প্রধানমন্ত্রী মোদি এখানে ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই, হিন্দু মহাসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে গোয়ালিয়রে ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেট ম্যাচের বিরোধিতা করা হবে। শান্তি বজায় রাখার জন্য ম্যাচটি বাতিল করা উচিত কারণ অন্যথায় দেশে অশান্তি হবে।
এ প্রসঙ্গে আজ বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘এই রকম হুমকি তো থাকেই। সব দেশের খেলার জন্যই এমন কিছু না কিছু থাকে। আমার মনে হয় না এটা বড় কোনো ব্যাপার। আমাদের ট্যুর যেভাবে সূচি দেওয়া আছে আমরা সেভাবেই যাব। দলে কোনো ইনজুরির সমস্যা নেই। দুই-তিন দিনের মধ্যেই আমাদের ভারত সফরের দল দিয়ে দেওয়া হবে।’
ছাত্র-জনতার গণুভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। সেদিনই প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। এরপর থেকেই ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে বাংলাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলার সংবাদ প্রচার করা হয়। যদিও ফ্যাক্ট চেকে উঠে আসে এসবের অধিকাংশই ছিল গুঞ্জন ও অতিরঞ্জিত।