চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি মানুষ ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ জনে। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সীরা। এদিকে, ডেঙ্গু সংক্রমণে সবচেয়ে শীর্ষে আছে বরিশাল বিভাগ, মৃত্যুতে ঢাকা।
এছাড়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে মোট ১৬৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গিয়েছে ১ জন। আক্রান্তদের মাঝে বেশিরভাগ-ই পুরুষ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের এক জরিপের মাধ্যমে জানা যায়, “এবার এডিস মশার বংশবৃদ্ধির হার মারাত্বক। মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মারাত্বক হতে পারে। ঐ জরিপে, ঢাকার দুই সিটির ১৫টি বাড়ির মধ্যে সাত থেকে আটটিতে মিলেছে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি এডিশ মশার লার্ভা। ফলে এবার ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার বলেন, ‘এডিস মশা ডিম পাড়ে পাত্রে জমে থাকা পানির কানায়। এমনকি পাত্রটি যদি একদম শুষ্কও হয়, কিন্তু কিছুটা ভেজা থাকে—সেখানেও ডিম পাড়ে। তাই ডেঙ্গু রোধে এডিস মশার প্রজননস্থল নিয়ন্ত্রণ ছাড়া কোনো কার্যকর সমাধান সম্ভব নয়।’
এদিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা জরিপের তথ্য মানতে নারাজ দুই সিটি করপোরেশন। তারা দাবি করছেন এডিশের বংশ বিনাশে তাদের কর্মীরা নিরলস কাজ করছে।