চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ—এই ৩ মাসে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে ৭৬৭ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ কৃষক রাজ্যের বিদর্ভ এলাকার বাসিন্দা। রাজ্য বিধানসভায় সরকারের পক্ষ থেকে এই তথ্য দাখিল করা হয়েছে।
কৃষিকাজে লোকসানের বহর বেড়ে যাওয়া, অনেক সময় ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়া, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ফসল নষ্ট হওয়া ও ঋণের বোঝা বৃদ্ধি কৃষকদের আত্মহত্যার অন্যতম কারণ। ঋণের বোঝা শোধ করতে না পারায় বহু কৃষক মৃত্যুকে বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।
মহারাষ্ট্রে ২০২৩ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন ২ হাজার ৮৫১ জন কৃষক। ২০২৪ সালে সংখ্যাটা সামান্য কমে দাঁড়ায় ২ হাজার ৬৩৫–এ। বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, কৃষকদের এই মৃত্যুমিছিল সত্ত্বেও বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের টনক নড়েনি। কৃষকদের কল্যাণে কোনো ব্যবস্থাই সরকার নিতে পারেনি। তাই ৩ মাসে ৭৬৭ জন কৃষককে আত্মহননের পথ বেছে নিতে হয়।
মন্ত্রীর পেশ করা তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি পশ্চিম বিদর্ভে। শুধু এই এলাকাতেই আত্মহত্যা করেছেন ২৫৭ জন কৃষক। যদিও সরকার এখনো নিশ্চিত নয়, তাদের তৈরি তালিকার ১৯৪ জন সত্যি সত্যিই আত্মহত্যা করেছেন, নাকি তাঁদের মৃত্যুর কারণ অন্য।
রাজ্য সরকার বিধানসভায় জানিয়েছে, অকাল বর্ষণ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে যাঁদের ফসল নষ্ট হয়েছে, সরকার তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। তা ছাড়া দরিদ্র কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান যোজনা থেকে বছরে ছয় হাজার টাকা সহায়তা যেমন দেওয়া হচ্ছে, তেমনই রাজ্য সরকারও দিচ্ছে বাড়তি ছয় হাজার টাকা। সরকারি সহায়তা সত্ত্বেও কৃষকদের আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না কেন, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন।