মানুষের ঢলে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়েছেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। শনিবার দুপুর থেকেই শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেন শিক্ষকসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মানুষের ঢল শহীদ মিনার এলাকা ছাপিয়ে চাঁনখারপুল মোড়, দোয়েল চত্বর, জগন্নাথ হল মোড় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল টাওয়ার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আন্দোলনকারীরা আসছিলেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১ টায় সায়েন্স ল্যাব অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ, আইডিয়াল কলেজসহ আশপাশের শিক্ষার্থীরা। দুপুর দুইটা ৪০ মিনিটের দিকে তারা মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার অভিমুখে জড়ো হন। বিকেল তিনটা ১০ মিনিটে তারা শহীদ মিনারে পৌঁছান।
উত্তরায় সাড়ে ১২ টার দিকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা মিরপুর ডিওএইচএসে অবস্থান নেন। এদিকে মিরপুর ১-ও দখলে নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। একই সময়ে উত্তরা বিএনএস সেন্টারেও জড়ো হন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা সবাই তিনটার দিকে বসুন্ধরা গেট অভিমুখে জড়ো হন। পরে তারা শহীদ মিনারের উদ্দেশে রওনা দেন।
এছাড়া রামপুরা, শান্তিনগর মোড়, শনির আখড়া অবরোধ করেছেন ছাত্র ও জনতা। তারা বর্তমানে শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গান গাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ‘আর্টসেল, শিরোনামহীন, জলের গান, ওয়ারফেজ, মাইলস, চিরকুট, অ্যাশেজ’— সাতটি ব্যান্ড। তবে তারা আজ গান গাইবেন না সেখানে, তারা রবীন্দ্র সরোবরে জড়ো হয়ে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
‘সারা দেশে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা’ দাবিতে শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা আজ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও কাল রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।