রুপালি পর্দায় নায়িকা থেকে তিনি বাস্তবের নায়িকা হতে নিজেকে জড়িয়েছিলেন রাজনীতিতে। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য মাহিকেও আর দেখা যায়নি প্রকাশ্যে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান মাহি।
এরইমধ্যে হঠাৎ করে মাহিয়া মাহির একটি সংবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সম্প্রতি “বাংলাদেশী অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার” শীর্ষক দাবিতে কিছু পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হয়েছে। তবে দাবিটি ভূয়া বলে জানিয়েছে দেশের ফ্যাক্ট চেকিং সাইট রিউমর স্ক্যানার। রিউমর স্ক্যানারের অনুসন্ধানে জানা যাচ্ছে, প্রচারিত পোস্টগুলোর বেশিরভাগ পোস্টগুলোই করা হয়েছে রাজনৈতিক দল এবং গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করে খোলা ভুয়া ফেসবুক গ্রুপে।
অন্তত ১২ টি মূলধারার গণমাধ্যমের নামে খোলা ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ থেকে এই দাবিটি প্রচার হতে দেখা গেছে। গণমাধ্যমগুলো হলো- বিবিসি বাংলা, প্রথম আলো, ইত্তেফাক, জনকণ্ঠ, এটিএন বাংলা, বাংলা ভিশন, আমার দেশ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, আরটিভি, সময় টিভি, আজকের পত্রিকা এবং বাংলা টিভি।
তবে এদিকে, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক পেজ পর্যবেক্ষণ করে গত ২৫ জুন মাহিয়া মাহির ছবি পোস্ট করতে দেখা যায়। এছাড়াও, গত ১৯ জুনের একটি পোস্টে তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছেন। সুতরাং, চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার দাবিতে প্রচারিত তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।