বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে নতুন করে ৯ ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তৃতীয় দফায় ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের দুশ্চিন্তায় ফেলছে। শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর তা কার্যকর হয়েছে।
ভারতের বিধিনিষেধের তালিকায় থাকা ৯ পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাক্স সুতার বর্জ্য, কাঁচা পাট, পাটের রোল, ফ্ল্যাক্স সুতা, পাটের সুতা, ফুড গ্রেড সুতা, লিনেন কাপড়, লিনেন ও তুলার সুতা মিশ্রিত কাপড় এবং কম প্রক্রিয়াজাত বোনা কাপড়। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মূলত কাঁচা পাট ও প্রক্রিয়াজাত পাটপণ্যই বেশি।
বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ডিরেক্টর ও রাজবাড়ী জুট মিলসের চেয়ারম্যান শেখ শামসুল আবেদিন জানান, ভারতের নতুন সিদ্ধান্তের প্রভাব পাটশিল্পে কতটা পড়বে সেটি তারা বিশ্লেষণ করছেন। কাঁচা পাট রপ্তানি বন্ধ হবে হয়তো। তবে নৌপথে কীভাবে রপ্তানি চালু রাখা যায়, সে আলোচনা এর মধ্যেই শুরু হয়েছে।
ভারতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ থেকে এই ৯ পণ্য আমদানির জন্য সমুদ্রপথে একটি পথ খোলা রেখেছে দেশটি। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সমুদ্রপথে মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর দিয়ে এসব বাংলাদেশি পণ্য ভারতে নেওয়া যাবে। তবে সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসব পণ্যের মোট রপ্তানির ১ শতাংশ রপ্তানি হয়। ফলে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মূলত এসব পণ্য রপ্তানির সহজ পথটি বন্ধ করে দিল ভারত।
এ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে তিন মাসে তিন দফায় অশুল্ক বাধা আরোপ করল ভারত। এর আগে গত ১৭ মে প্রথম দফায় বাংলাদেশ থেকে স্থলবন্দর দিয়ে তৈরি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক, কাঠের আসবাব, সুতা ও সুতার উপজাত, ফল ও ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয় প্রভৃতি পণ্য আমদানিতে বিধিনিষেধ দিয়েছিল ভারত।
বিজেএসএর সভাপতি তাপস প্রামাণিক বলেন, রাজনৈতিক কারণে নেওয়া ভারতের এমন সিদ্ধান্তের কারণে দেশটিতে বাংলাদেশের কাঁচা পাট, পাট সুতা, পাটপণ্যসহ ৯ ধরনের পণ্য রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হবে। তবে পাট রপ্তানি কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, সেটি বিশ্লেষণের জন্য বিজেএসএ ৩০ জুন বৈঠকে করবে।