ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার লড়াই এখন ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো ফরম্যাটে। নয়নাভিরাম সিলেটে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে অবশ্য বাংলাদেশের আক্ষেপ হওয়ার কথা। কামিন্দু মেন্ডিস আর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার জোড়া সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা ২৮০ রান করলেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল অল্পতে লঙ্কানদের আটকে ফেলার।
লঙ্কানদের ৫৭ রানে ৫ উইকেট ফেলে দেওয়ার পরেও তাদেরকে ২৮০ রান পর্যন্ত যেতে দেওয়া অপরাধই বটে। সিলেট টেস্টে এ পর্যন্ত তিন সেশনের মধ্যে সকালেই সেরা সময়টা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। পরেরটা ছিল কেবলই হতাশার। শেষ সেশনে গতি, বাউন্স আর মুভমেন্টে জ্বলে ওঠলেন নাহিদ রান। একাই ফেরালেন দুই সেঞ্চুরিয়ানকে। শেষপর্যন্ত শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৮০ রানে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সিলেটে তৃতীয় সেশনে লঙ্কানদের সর্বশেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন লাহিরু কুমারা। লঙ্কানদের হয়ে শতক হাকিয়েছেন ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দু। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন খালেদ ও নাহিদ। একটি করে উইকেট পান শরিফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।
সিলেটে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই শ্রীলঙ্কা চাপে ছিল। খালেদ আহমেদের বোলিং তোপে ইনিংসের শুরু থেকেই পটাপট উইকেট পড়তে থাকে তাদের। ৫৭ রানে তখন ৫ উইকেট হারিয়ে বড় বিপদে পড়ে সফরকারী
এরপর ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের ব্যাটে বড় জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় সেশনের পুরোটা সময়ই মারকুটে ব্যাট করেন তারা। ২০২ রানের জুটির পর কামিন্দুকে ফেরান এই টেস্ট দিয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হওয়া নাহিদ রানা। শ্রীলঙ্কার দলীয় ২৫৯ রানে কামিন্দুর উইকেট নেন তিনি।
কামিন্দু ফেরার পর ধনাঞ্জয়াকে সঙ্গ দিতে নামেন প্রবাথ জয়াসুরিয়া। একটু পরই সেঞ্চুরি তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। তবে ১০২ রানে তাকেও ফেরত পাঠান রানা। এরপরের ওভারের চতুর্থ বলে নাহিদ ফেরান জয়াসুরিয়াকে। তাইজুল ইসলামের বলে বিশ্ব ফার্নান্দো ক্যাচ দেন লিটনকে। শেষ ব্যাটার হন রান আউট।