দেড় মাস আগেও অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজ কি বিশ্বকাপের আগে শেষ হবে? তবে বিশ্বকাপ শুরুর ১৫ দিন আগে উদ্বোধন করা হয়েছে ৩৪ হাজার ধারণক্ষমতার এই ভেন্যু। বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রে যে ১৬ ম্যাচ হবে, তার ৮টিই হবে এই মাঠে। যদিও স্টেডিয়ামের নির্মাণকাজ শুরু হয় তিন মাস আগে। একদম শূন্য থেকে শুরু করে স্বল্প সময়ের মধ্যে এটাকে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রূপ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বিশ্বকাপের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দারুণভাবে।
আগামীকাল এই স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচটি খেলতে নামবে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে শান্ত যে মাঠ ঘুরে দেখেছেন, তা আইসিসির ফেসবুক পেজে প্রচারিত হয়েছে। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাঠের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। অদ্ভুত লাগছে। বোঝাতে চাইছি যে ইন্টারনেটে সবাই যখন দেখেছি, তখন কিছুই ছিল না (তিন মাস আগে)। এখন এটাকে সত্যিকারের স্টেডিয়াম মনে হচ্ছে। বিশেষ করে পূর্বপাশের গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড এমন হবে আশা করিনি। মাঠও অনেক ভালো মনে হচ্ছে, সবমিলিয়ে এটি সত্যিকারের ক্রিকেট স্টেডিয়াম হয়ে উঠেছে।’
নিউইয়র্ক শহরের পূর্বে প্রায় ২৫ মাইল বা ৪০.২ কিলোমিটার দূরে এ ভেন্যুর অবস্থান। আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেছেন বিশ্বের দ্রুততম মানব ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুভেচ্ছাদূত উসাইন বোল্ট। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত এটি। এ মাঠে আগামী ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিশ্বকাপের মূল টুর্নামেন্টের ম্যাচও খেলবে বাংলাদেশ। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তানেরও খেলা আছে এই স্টেডিয়ামে।
নাসাউয়ের গ্যালারি–পিচ ও চারপাশ দেখে টাইগার অধিনায়ক জানান, ‘গোটা স্টেডিয়াম দেখে, উইকেট, আবহ, সবকিছুই খুব ভালো। আমার কাছে একদমই পাগলাটে মনে হচ্ছে। আমরা সবাই জানি, এখানে অনেক বেসবল, বাস্কেটবল খেলা হয়। কিন্তু আমরা আশা করিনি, ক্রিকেট এখানে এরকম হবে। এখানে খেলার জন্য আমরা এখনই রোমাঞ্চ অনুভব করছি।’
নাসাউ কাউন্টির এই অস্থায়ী স্টেডিয়ামের বেশিরভাগ অংশই তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ীভাবে, যেগুলো চাইলে যেকোনো সময় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। অ্যাডিলেড থেকে ড্রপ ইন পিচ এনে বসানো হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। মূল মাঠের পাশাপাশি অনুশীলনের জন্যও পিচ আনা হয়েছে।
স্টেডিয়ামটি মনে ধরেছে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মারও। তিনি বলেছেন, ‘সুন্দর দেখাচ্ছে। খোলা একটা মাঠ। প্রথম যে ম্যাচ খেলব, এখানকার আবহটা পেতে তর সইছে না। ধারণক্ষমতাও ভালো। আশা করি ভালো হবে।’