মুহিব’ নামে একটি নাটকে অভিনয় করেছেন দুই তরুণ অভিনয়শিল্পী মাসুম রেজওয়ান ও সামিয়া অথৈ; নাটকটি পরিচালনা করেছেন নির্মাতা হোসনি ইয়ামিন এলান । গত ১৭ ও ১৮ মে নাটকটির দৃশ্যধারণ করেছেন তারা। এখনো নাটকটি মুক্তি পায়নি। এর মধ্যে ব্যক্তিগত বিষয়কে সামনে এনে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক, অভিনেতা ও অভিনেত্রী।
প্রথমে প্রকাশ্যে আসে মাসুম রেজওয়ানের অভিযোগ। গত ১৭-১৮ ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা উল্লেখ করে ৩০ জুন তিনি অভিনয় শিল্পী সংঘে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর প্রকাশ্যে আসে মাসুম রেজওয়ানের বিরুদ্ধে সামিয়া অথৈ’র সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার প্রসঙ্গ।
২৯ জুন মধ্যরাতে অভিনেতা মাসুম রেজওয়ানের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এই তরুণ অভিনেত্রী। জিডিতে তিনি দাবি করেছেন, একসঙ্গে কাজের সুবাদে মাসুমের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তিনি (মাসুম) তাকে প্রায়ই বিরক্ত করতেন। এরমধ্যে শনিবার (২৯ জুন) রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের টোকিও স্কয়ারের সামনে তাকে ‘কুপ্রস্তাব’ দেন মাসুম।
অথৈ’র অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন মাসুম রেজওয়ান। তিনি বলেন, ‘অথৈ আমার খুব ভালো বন্ধু। ওর পরিবারের সঙ্গেও আমার পরিচয় রয়েছে। ঈদের মধ্যে ও অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, আমিই ওকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম।’
মাসুমের দাবি, পরিচালক হোসনি ইয়ামিনের ‘যোগসাজশে ও প্ররোচনায়’ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন সামিয়া অথৈ। সেই রাতে ঘটনাস্থলে পরিচালক ইয়ামিনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ সামনে আনছেন এই তরুণ অভিনেতা।
সামিয়া অথৈ সাধারণ ডায়েরি করার পর একই দিন (২৯ জুন) বিকেলে পরিচালক ইয়ামিনের বিরুদ্ধে অভিনয় শিল্পী সংঘে অভিযোগ দেন অভিনেতা মাসুম। অভিযোগে মাসুম দাবি করেছেন, সেই রাতে তার সঙ্গে টোকিও স্কয়ারের সামনে দেখা করতে আসেন সামিয়া অথৈ। এর মধ্যে পরিচালক ইয়ামিন অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা করেন। পরিচালক ও তার সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি তাকে মারধর করেন। হত্যার হুমকি দেন।
মাসুমের অভিযোগের পর ইয়ামিন এলান বলেন, মাসুম আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে এটা সত্য নয়। এই ছেলে একজনের মোবাইল চুরি করেছিলেন এবং যার মোবাইল চুরি করেছিলেন ঘটনার দিন সেসহ আমাদের একসঙ্গে দেখে পালানোর চেষ্টা করেন। আমি কাউকে কোনো মারধর করিনি। বরং তার নামেই অনেক অভিযোগ রয়েছে যেগুলো সময় হলে প্রমাণসহ সামনে আনব।
এদিকে শিল্পী-নির্মাতার পাল্টা-পাল্টি অভিযোগের বিষয়ে অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান বলেন, আমাদের কাছে দুই পক্ষের অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ যে কেউ করতে পারে। সেটার সত্যতা কতটুকু তা জানার চেষ্টা আমরা করছি। দুই-চারদিনের মধ্যে আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধাণ করার চেষ্টা করব।