লাইফ সাপোর্টে থাকা সংগীতশিল্পী, নির্মাতা ও সঞ্চালক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে। এমনটিই জানিয়েছেন শিল্পীর মেজ ভাই মহিবুল রেজা জুয়েল।
আজ বিকেলে তিনি সমকালকে বলেন, ‘হাসান আবিদুর রেজা জুয়েলের ফুসফুসের ইনফেকশন অনেকটাই কমে এসেছে। সেখানে জমে থাকা পানি ক্রমশ বের করা হচ্ছে। হৃদযন্ত্র, কিডনি ও ব্রেইন কাজ করছে। ধীরে ধীরে হলেও ভাইয়ের অবস্থার উন্নতির দিকে যাচ্ছে। তবে এখনও নিজে শ্বাস নিতে পারছেন না। তাই এখনও ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। তাঁকে সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসকরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। সবাই ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে জুয়েলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তাঁর স্ত্রী সংগীতা আহমেদ জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ২৩ জুলাই রাত থেকে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। এরপর ফুসফুস এবং হাড়েও সেটি ক্রমশ সংক্রমিত হয়। ৯০-এর দশকে ব্যান্ড সংগীত যখন তুমুল আলোচনায়, ঠিক তখনি ব্যতিক্রমী একটি কণ্ঠ নিয়ে হাজির হন শিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল।
আইয়ুব বাচ্চুর সুরে প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশ হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’, ‘আমার আছে অন্ধকার’, ‘একটা মানুষ’, ‘দেখা হবে না’, ‘বেশি কিছু নয়’, ‘বেদনা শুধুই বেদনা’, ‘ফিরতি পথে’, ‘দরজা খোলা বাড়ি’ এবং ‘এমন কেন হলো’। এ ছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল। সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে ‘এক বিকেলে’ অ্যালবামটি। এটি প্রকাশের পর তাঁর নামই হয়ে যায় ‘এক বিকেলের জুয়েল’।
সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি এখনও সর্বাধিক পরিচিত হলেও তাঁর আরও একটি বড় পরিচয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেছেন। তিনি ভালো একজন সংগঠকও। ২০২১ সালে গঠিত সংগীতের তিন সংগঠন নিয়ে ‘সংগীত ঐক্য’ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।