সাকিব আল হাসানকে কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যেতে হচ্ছে। একে তো রাজনৈতিক কারণে দেশে ফিরতে পারছেন না; তার ওপর ভারত সফরের পর জাতীয় দলেও নেই। এরই মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশনের কারণে বোলিং নিষেধাজ্ঞা।
বিদেশি কোনো লিগ বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করতে পারবেন না ত্রুটিমুক্ত না হয়ে। ইংল্যান্ডের লাভবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ভারতের চেন্নাইয়ে স্যার রামাচন্দ্র মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে বোলিং অ্যাকশনের বায়োমেকানিকস পরীক্ষাতেও উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি।
ফলে তিনি প্রস্তুত হচ্ছেন তৃতীয় পরীক্ষার জন্য। জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে অনলাইনে কাজও করছেন। বিসিবির একটি সূত্র জানায়, ইংল্যান্ডের ল্যাবে পুনরায় পরীক্ষা দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদিও দেশে গুঞ্জন রটে গেছে, তৃতীয়বার বোলিং অ্যাকশন টেস্ট দিয়ে ফেল করেছেন সাকিব।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী, অ্যাকশন ত্রুটিমুক্ত প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আইসিসির স্বীকৃত ল্যাবে পরীক্ষা দিয়ে যেতে পারবেন কোনো বোলার। অর্থাৎ সাকিব ত্রুটিমুক্ত হওয়ার জন্য একাধিকবার পরীক্ষা দিতে পারবেন। তবে একবার ত্রুটিমুক্ত হওয়ার পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে আবারও আম্পায়ার রিপোর্ট করলে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। সে ক্ষেত্রে এক বছর বিরতি দিয়ে বায়োমেকানিকস টেস্ট দেওয়া যাবে।
বিসিবির একজন কোচ মনে করেন ইংল্যান্ডই উপযুক্ত জায়গা সাকিবের জন্য। নিজেকে আগে ত্রুটিমুক্ত প্রমাণ করার সংগ্রাম করছেন ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। কারণ অ্যাকশন ত্রুটিমুক্ত না হলে বিদেশের কোনো লিগে বোলিং করতে পারবেন না তিনি।
ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে হবে ব্যাটার হিসেবে। সে ক্ষেত্রে বিদেশি লিগে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের চাহিদা কমে যেতে পারে। এ কারণে বিসিবির কোচরা মনে করেন, বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ভালোভাবে কাজ করে টেস্ট দিলে ভালো। একজন কোচ নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন, ‘সাকিব বেশি তাড়াহুড়ো করেছে। ইংল্যান্ড বা দুবাইয়ে কোনো একজন কোচের অধীনে ট্রেনিং করে চেন্নাইয়ের ল্যাবে গেলে সমস্যা হতো না।’