মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের ১৩ নম্বর গ্যালারিতে নিজের হাতে লেখা প্লাকার্ড নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মো. শাকিল। তাতে লেখা-‘মিরপুর শেরেবাংলা তুমি মাঠ, তুমি মনে তুমি রবে জনে জনে মাশরাফি বিন মুর্তজা।’
এইচএসসি পাশ শাকিল চাকরি করেন একটি কসমেটিকসের দোকানে। একদিনের ছুটি নিয়ে পাঁচ বন্ধু মিলে নরসিংদীর মাধবদী থেকে কাল বিপিএলের ম্যাচ দেখতে ঢাকায় আসেন। আশা ছিল, দুই এমপি মাশরাফি মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের মুখোমুখি লড়াই উপভোগ করবেন। কিন্তু চোখের চিকিৎসার জন্য সাকিব দেশের বাইরে থাকায় সেই লড়াই মিস করেছেন। এ যেন এক টিকিতে দুই ছবি দেখা মিস হওয়ার মতো। রংপুর রাইডার্সের কাছে সিলেট স্ট্রাইকার্সের চার উইকেটের হারে হতাশ হলেও প্রিয় ক্রিকেটার মাশরাফিকে দেখে খুশি শাকিল।
শাকিল মাশরাফির পাঁড় ভক্ত। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের সংগ্রামী জীবন তার প্রেরণা। তিনি বলেন, ‘মাশরাফি ভাই একজন বীর। এতবার ইনজুরি নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়াটা বিস্ময়কর। আশা ছিল, দুই এমপি মাশরাফি ও সাকিবের লড়াই দেখব। আমার দুর্ভাগ্য। সাকিব দেশের বাইরে আছেন, জানতাম না। সিলেট হেরেছে, কষ্ট পেয়েছি। মাশরাফিকে দেখার সান্ত্বনা নিয়ে বাড়ি ফিরব, এটাও কম কিসে।’ শাকিলের সঙ্গে আসা চারজনের একজন মো. নাদিম। নরসিংদী সরকারি কলেজের বিবিএ প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী নাদিম বলেন, ‘সাকিব সিলেটের বিপক্ষে খেলবেন না, আমি জানতাম। কিন্তু বন্ধুদের কথা ফেলতে পারিনি। দল বেঁধে কোথাও ঘুরতে যেতে ভালো লাগে। বিশ্বাস ছিল, দলে বাবর আজম, মোহাম্মদ নবী আছেন, রংপুর জিতবে। সাকিব যদি মাশরাফিকে বল করতেন, দোয়া করতাম ওভারটা যেন মেডেন হয়। কারণ, সাকিব আমার প্রিয় ক্রিকেটার। আর মাশরাফি একজন যোদ্ধা।’