পাকিস্তানের শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথমবার ৫ উইকেট পেলেন হাসান মাহমুদ। টাইগার এই পেসারের বলে মিরাজের ক্যাচ হয়েছেন মীর হামজা। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১০ বলে ৪ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ১৭২ রানে থামে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে ১২ রানে এগিয়ে থাকায় পাকিস্তানের লিড দাঁড়িয়েছে ১৮৪ রানের। অর্থ্যাৎ, রাওয়ালপিন্ডির দ্বিতীয় টেস্ট জিততে বাংলাদেশের চাই ১৮৫ রান।
২ উইকেটে ৯ রান দিন শুরু করা পাকিস্তান আজ বাকি আট উইকেটে যোগ করেছে ১৬৩ রান। অপরাজিত থাকা আগা সালমানের ৪৭ রানই সর্বোচ্চ, মোহাম্মদ রিজওয়ান করেছেন ৪৩। বাংলাদেশের পক্ষে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন হাসান, নাহিদ রানার শিকার ৪৪ রানে ৪ উইকেট। অন্য উইকেটটি তাসকিন আহমেদের।
নাহিদের চতুর্থ শিকার আবরার, ৮ উইকেট নেই পাকিস্তানে। পাকিস্তানের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন আবরার আহমেদ। নাহিদ রানার বলে প্রথম স্লিপে শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। নাহিদ রানার এটি চতুর্থ শিকার, যা তার ক্যারিয়ার সেরা। নাহিদের মতো চার উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। এদিকে পাকিস্তানের একটি উইকেটই বাকি। দেখা যাক প্রথম পাঁচ উইকেট কে নিতে পারেন। পাকিস্তানের রান ৯ উইকেটে ১৪৬। লিড ৫৮ রানের।
হাসানের জোড়া আঘাত, ৮ উইকেট নেই পাকিস্তানের। বোলিং আক্রমণে ফিরেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা রিজওয়ানকে ফেরালেন হাসান মাহমুদ। ৭৩ বলে ৪৩ রান করা পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। পরের বলেই নতুন ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আলিকে আউট করেন হাসান। স্লিপে তার ক্যাচ নিয়েছেন নাজমুল হোসেন। হাসান দুই উইকেট নিয়েছেন ওভারের শেষ দুই বলে। পরের ওভারের প্রথম বলে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তার সামনে।
পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৩৯ রান। তাদের লিড এখন ১৫১ রানের। এর আগে ৪ উইকেট নিয়ে চতুর্থ দিনের সকালটা নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। পাকিস্তান আগের দিনের ২ উইকেটে ৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিল। দিনের নবম ওভারে মাসুদকে ফেরান তাসকিন। এরপর একাই পাকিস্তানের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন নাহিদ রানা। পরপর তিন ওভারে শান মাসুদ, বাবর আজম ও সাউদ শাকিলকে ফেরান তরুণ পেসার।
এর আগে রাওয়ালপিন্ডিতে দ্বিতীয় দিনের বিনা উইকেটে ১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমেই খেই হারিয়ে ফেললো টাইগার ব্যাটাররা। পাকিস্তানের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় বাংলাদেশের ব্যাটং লাইন-আপ। যার ফলে মাত্র ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। তবে এরপরেই জুটি গড়ে দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও লিটন দাস।
এই দুই ব্যাটারের ১০০ রানের জুটিতে ভর করে ফলো-অন এড়ায় বাংলাদেশ। এই জুটিতে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল টাইগাররা। তবে ১৬৫ রানেই থামতে হয় এই জুটিকে। দলীয় ১৯১ রানে মিরাজের বিদায়ে ভেঙে যায় এই জুটি। মিরাজ ফিরে গেলেও ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন। পাকিস্তনের বিপক্ষে আজ তিনি ১৭১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বিপর্যয় কাটিয়ে ২৬২ রানে থামে বাংলাদেশ।
১২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে পাকিস্তান। এরপরেই তৃতীয় দিনের খেলা সমাপ্ত ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।