আগে ব্যাটিং করে স্কোর বোর্ডে ২৮৬ রান যোগ করে বাংলাদেশ। রান তাড়ায় ১৭ বল বাকি রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় শ্রীলঙ্কা। তিন ম্যাচের সিরিজ এখন ১-১ সমতায় ফিরেছে সফরকারীরা।
সিরিজ জয়ের খুব কাছে থেকেও এখন অপেক্ষা বেড়েছে স্বাগতিকদের। ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে আসা বাংলাদেশের সেরা পারফর্মার তাওহীদ হৃদয় জানালেন, ২০-৩০ রান কম করেছেন তারা। সেটা করতে পারলে দৃশ্যপট ভিন্ন হতো বলে মনে করেন তিনি।
৭৫ রানে নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হলে উইকেটে আসেন হৃদয়। একপাশ আগলে শেষ পর্যন্ত টেনে নেন তিনি। ৯৬ রানের অপরাজিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাটার। কোথায় ম্যাচটা ছিটকে গেছে বাংলাদেশ! এমন প্রশ্নে হৃদয় বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ২০-৩০ রান… (কম হয়েছে)। উইকেটটা যেমন ছিল ৩৩০/৩৪০ এর উইকেট। আমরা সেট হয়ে যদি আরেকটু এগিয়ে নিতে পারতাম, যারা সেট হয়েছিলাম। তাহলে হয়তোবা দৃশ্যটা ভিন্ন হতো।’
ম্যাচের মাঝ দিকে সৌম্যর সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি হয় হৃদয়ে। ওই জুটিতে আরেকটু রান হলে ম্যাচে বাংলাদেশের স্কোর তিনশ পেরোতে এমন মতো হৃদয়ের, ‘আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, আমি সৌম্য ভাই বা যারা আমরা সেট হয়েছি হয়তোবা আমরা যদি ইনিংসটা আরেকটু ক্যারি করতাম; ওপর থেকে যদি আমি আর সৌম্য ভাই যখন খেলছিলাম, আমি সৌম্য ভাইকে বারবার বলেছিলাম, ‘সৌম্য ভাই আজকে খেলতে হবে।’ সৌম্য ভাইর ইনিংসটা যদি আরেকটু বড় হতো বা শান্ত ভাইর ইনিংসটা যদি আরেকটু বড় হতো, তাহলে হয়তোবা খেলার সিনারিওটা আরেকটু ভিন্ন হতো।’ সেটা না হওয়াতেই ম্যাচটা হেরে সিরিজ ঝুলে রইল শেষ ম্যাচ পর্যন্ত।