ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও এখনো অনিশ্চয়তায় রয়ে গেছে এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা নিয়ে। তবে হামাস ও এর মিত্র সংগঠনগুলো স্পষ্ট জানিয়েছে গাজার শাসনব্যবস্থা নির্ধারণ করবেশুধুমাত্র ফিলিস্তিনিরাই।
শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) হামাসের অবস্থানকে সমর্থন জানায়। বিবৃতিতে বলা হয়, গাজার প্রশাসনিক কাঠামো কেমন হবে, সেটা নির্ধারণের একমাত্র অধিকার ফিলিস্তিনিদের। তারা নিজেদের সম্মিলিত প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমেই ভবিষ্যৎ সরকার গঠন করবে।
সংগঠন দুটি দাবি করেছে, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের বক্তব্য, শত্রু রাষ্ট্রগুলোর যেকোনো ‘বিদেশি শাসনের’ বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নির্ধারণে একটি ‘জরুরি জাতীয় বৈঠক’ আহ্বানের প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছে সংগঠন দুটি। তাদের মতে, এই বৈঠক ফিলিস্তিনিদের অবস্থানকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং অংশীদারিত্ব, স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতার ভিত্তিতে জাতীয় প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে।
তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রভাবশালী দল ফাতাহ এই বৈঠকে যোগ দেবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।