বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের অগ্রদূত ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। প্রায় ছয় মাস ধরে তিনি সেখানে অবস্থান করছেন এবং মেয়ের বাসায় থেকেই চিকিৎসা চলছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানান জামাতা আরিফুল ইসলাম।
জামাতা আরিফুল ইসলাম বলেন, “গত ২৬ এপ্রিল থেকে আব্বু লন্ডনে আমাদের বাসায় আছেন। হার্লি স্ট্রিট ক্লিনিকের অনকোলজিস্ট ড. ভিনায়ার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। ৫ আগস্ট উইলিংটন হাসপাতালে অধ্যাপক ডিমিট্রিয়াসের নেতৃত্বে তার মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। টিউমারের কিছু অংশ অপসারণ করা হয়েছে, তবে পুরোটা সরালে জীবনহানির ঝুঁকি ছিল বলে চিকিৎসকরা জানান।”
তিনি আরও জানান, বর্তমানে টিউমারের অবশিষ্ট অংশ রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি ও টার্গেট থেরাপির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে নতুন থেরাপি, যা চলবে সপ্তাহে পাঁচ দিন করে টানা ছয় সপ্তাহ। এরপর চার সপ্তাহ বিশ্রামে থাকবেন এই অভিনেতা।
দীর্ঘদিন বিদেশে চিকিৎসার কারণে শারীরিক ক্লান্তি ও মানসিক অবসাদে ভুগছেন ইলিয়াস কাঞ্চন। আরিফুল ইসলাম বলেন, “আব্বু সারাজীবন কর্মব্যস্ত ছিলেন। এখন চিকিৎসার কারণে ঘরবন্দী থাকতে হচ্ছে। এতে মন খারাপ হয়ে গেছে, শরীরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। ফোনে কথা বলা নিষেধ, তবুও তিনি নিসচার কার্যক্রম নিয়ে জানতে চান।”
ইলিয়াস কাঞ্চনের খোঁজ নিতে সম্প্রতি তার লন্ডনের বাসায় গিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা রোজিনা। নিয়মিত খবর রাখছেন চিত্রনায়িকা সোনিয়াও।
পরিবারের পক্ষ থেকে আরিফুল ইসলাম বলেন, “চিকিৎসা শুরু হওয়ার পর থেকে আব্বুর ফোন বন্ধ থাকে, তাই অনেকে যোগাযোগ করতে পারছেন না। আমরা সবার কাছে দোয়া চাই—তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবারও দেশে ফিরে আসতে পারেন।”
