দেশে গ্যাসের চাহিদা পূরণে সংকট চলছে। এলএনজি আমদানি করেও ঘাটতি মেটানো সম্ভব হচ্ছে না, আর দেশীয় উৎপাদন কমছে। গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াতে ২০২২ সালে ৫০টি কূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ২০টির কাজ শেষ হয়েছে।
বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জানিয়েছে, বাকি কূপগুলোর খনন কাজ ধীরে ধীরে চলছে। ২০টি কূপের মাধ্যমে দিনে নতুন করে মাত্র ৯ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ছয়টি কূপের কাজ চলমান। ডিসেম্বরের মধ্যে আরও কিছু কূপ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশীয় তিনটি সংস্থা—বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল—এর মধ্যে কূপ খননের প্রধান সক্ষমতা রয়েছে বাপেক্সের। অন্য দুটি সংস্থা ঠিকাদার নিয়োগে কাজ করায় গতি কম। পেট্রোবাংলা বলছে, বছরের মধ্যে একাধিক কূপ খনন সম্ভব হলেও প্রক্রিয়া ও অনুমোদনের কারণে ধীরগতি অব্যাহত।
বর্তমানে দেশের দৈনিক গ্যাস চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট, যেখানে সরবরাহ হচ্ছে মাত্র ২৭০–২৮০ কোটি ঘনফুট। স্থলভাগে উৎপাদন কমছে এবং সমুদ্রের অনুসন্ধানও পিছিয়ে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাস সংকট মোকাবেলায় অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।