আজ (১২ নভেম্বর) বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ৭৭তম জন্মদিন। তার সৃজনময় জীবন ও অনবদ্য অবদানের স্মরণে দেশে নানা আয়োজন করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন ও তার অসংখ্য ভক্ত।
বাংলা কথাসাহিত্যের জনপ্রিয়তম লেখক হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ আধুনিক গল্প বলার ধরনকে নতুন রূপ দিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের জীবন, সরলতা, হাসি-কান্না, প্রেম-বেদনা সবকিছুই তিনি এমনভাবে তুলে ধরেছেন যা পাঠক ও দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলেছে।
তার লেখায় কৃত্রিম নাটকীয়তার পরিবর্তে ছিল জীবনের স্বাভাবিক গতি ও মানবিক অনুভবের গভীর প্রতিফলন। সাহিত্য ছাড়াও তিনি নাটক ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পৌঁছে দিয়েছেন।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তার নির্মিত চলচ্চিত্র আগুনের পরশমণি ও শ্যামল ছায়া বাংলাদেশের ইতিহাস ও মানবিক আবেগের সার্থক রূপায়ণ হিসেবে আজও সমানভাবে প্রশংসিত।
এছাড়া আমার আছে জল ও ঘেঁটু পুত্র কমলা চলচ্চিত্রে লোককথা, সমাজ ও মানবিকতার মিশেল ঘটিয়েছেন তিনি।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প বলার অনন্য শক্তি ছিল সাধারণ মুহূর্তগুলোকে অসাধারণ করে তোলা। তার কাজের ভেতর দিয়ে প্রতিফলিত হয়েছে ইতিহাস, অনুভূতি ও মানবিকতার এক অমূল্য উত্তরাধিকার,যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে যাচ্ছে।
তার জন্মদিনে বাংলাদেশ আজ শুধু একজন লেখক বা নির্মাতাকেই নয়, এক গভীর মানবিক আত্মাকে স্মরণ করছে যিনি গল্পের মাধ্যমে এক জাতির হৃদয় ছুঁয়েছিলেন।